NSA সম্পর্কে
NSA সম্পর্কে
NSA সম্পর্কে
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন(NSA) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (MoPME) গত ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় NSA কার্যক্রম শুরু করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সাফল্য মূল্যায়ন করা এবং তথ্যভিত্তিক নীতিনির্ধারণে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ফলাফল পরিমাপের মাধ্যমে NSA কার্যক্রমটি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষার্থী গোষ্ঠীর মধ্যে সমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে।
জাতীয় পর্যায়ে এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন না করে, একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জাতীয় পর্যায়ের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন(NSA) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (MoPME) গত ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় NSA কার্যক্রম শুরু করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সাফল্য মূল্যায়ন করা এবং তথ্যভিত্তিক নীতিনির্ধারণে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ফলাফল পরিমাপের মাধ্যমে NSA কার্যক্রমটি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষার্থী গোষ্ঠীর মধ্যে সমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে।
জাতীয় পর্যায়ে এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন না করে, একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জাতীয় পর্যায়ের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে।
NSA বাংলাদেশের তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা (বাংলা) ও সংখ্যাতত্ত্ব (গণিত) বিষয়ে দক্ষতা পরিমাপের জন্য পরিচালিত হয়। এই মূল্যায়নটি বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, যার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার সার্বিক অবস্থা ও প্রবণতা সম্পর্কে জানা যায়। NSA কেবল শিক্ষার্থীদের শেখার পরিমাণই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা, ভৌগোলিক অবস্থান, স্কুলের অবকাঠামো এবং শিক্ষকের গুণমানসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলার বিভিন্ন কারণও নির্ধারণ করে। তাছাড়া, এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বাধাগুলো রয়েছে সেগুলোরও পরিচয় দেয়, যেমন – স্কুলে পর্যাপ্ত রিসোর্সের অভাব, শিক্ষক সংকট, বা আঞ্চলিক বৈষম্য।
NSA আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা। পূর্ববর্তী NSA তথ্যের সাথে বর্তমান ফলাফল তুলনা করে, নীতি নির্ধারকরা শিক্ষায় গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, যেমন পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন বা শিক্ষক প্রশিক্ষণের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে পারেন। সামাজিক-অর্থনৈতিক বা ভৌগোলিক বৈষম্যের কারণে পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থী গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করতে NSA কার্যক্রম সহায়তা করে ।
এভাবে, NSA শিক্ষা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তথ্যভিত্তিক কৌশল তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যাতে শিক্ষার্থীদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্যের মূল কারণগুলো চিহ্নিতকরনের মাধ্যমে NSA কার্যক্রম দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার পথে সহায়ক।